Saturday, 16 July 2016

উদ্ভটসব চিন্তা ...

এই যুগের বেশি ভাগ তরুণ তরুণী হুমায়ূন আহামেদের ভক্ত । আমিও তাদের মধ্যে একজন ।
আর দুই দিন পর তার চতুর্থ তম মৃত্যুবার্ষিকী । ৪ বছর হয়ে গেছে অথচ এখনও প্রতি বই মেলায় আমি অপেক্ষা করি তার লিখা নতুন বইয়ের জানি এটা শুধু অপেক্ষা ,বইপোকা দের অপেক্ষা । মাঝে মাঝে আমার মাথায় আসে আচ্ছা এমন করলে কেমন হয় যদি পৃথিবীর বিখ্যাত সব মানুষদের মৃত্যুর পর তাদের মস্তিষ্ককে জীবিত রাখা হতো । আমার জানতে ইচ্ছা করে যেভাবে এক জন মানুষের হার্ট অন্য মানুষের মধ্যে স্থানান্তর করা যায় সেভাবে কি জ্ঞানী মানুষ গুলোর মৃত্যুর পর তাদের মস্তিষ্ক অন্য কোন জীবিত মানুষের মধ্যে স্থানন্তর করে সেটাকে কার্যকর করা যায় না । একজন মানুষের মৃত্যুর পর যদি তার হার্ট কে জীবিত রাখা যায় তাহলে তার ব্রেইন কে কি জীবিত রাখা যায় না । মানুষের হার্টে অবশ্য কোন মেমোরি থাকে না ,কিন্তু মস্তিষ্কে থাকে । তাহলে একজন মৃত মানুষের মস্তিষ্ক যদি কোন জীবিত মানুষের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে সেই জীবিত মানুষ টিকে মেরে মৃত মানুষটি কে জীবিত করা হবে । শুনতে খুবি নিষ্ঠুর মনে হয় । সেচ্ছায় যদি কেও চায় তাহলে কেমন হবে ।
আদো ও কি সম্ভব  এমন কিছু । এভাবে যদি আইনস্টাইন ,নিউটন , গালিলিও, রবীন্দ্রনাথ , হুমায়ূন আহামেদ সব বিখ্যাত মানুষ দের জীবিত রাখা যেত তাহলে খারাপ হতো না । কিন্তু এরকম করলে একদিন হয়তো এমন আসবে যে পৃথিবীর সব এক কালের মৃত মানুষরাই জীবিত থেকে যাবে । চিন্তা করতে ভায়ানক । আমার মাথায় এরকম উদ্ভট চিন্তা ভাবনা যেভাবে আসে সেভাবেই গেট আউট হয়ে যায় । আর যাই হোক হুমায়ূন আহামেদ স্যারের মত জ্ঞানীরা মরেও জীবিত হয়ে থাকে এবং থাকবে তাদের অগনিত ভক্তদের মাঝে । 
আম্মু আজকে আমার রেনু আন্টির সাথে দেখা হয়ে ছিল ।
কি ? কোথায় ? তুই উল্টো পাল্টা কিছু বলিসনি তোহ ?
উহু । উল্টো আমি তোহ তোমার উপকার করেছি 
তার মানে নিশ্ছই কিছু ঘটিয়েছিস , কি বলেছিশ তুই তাকে ?
তেমন কিছু না; সে বলছিল অনেক দিন তোমাদের বাসায় যাওয়া হয় না,তোমার আম্মা কেমন আছে ?
আমি বলেছি আপনি বাসায় যান না ,তাই সে অনেক ভালো আছে  । আপনি যখনি আসেন আম্মুর আলমারি থেকে সবসময় সবচেয়ে সুন্দর শাড়িটা বেছে নিয়ে যান । তাই আপনি না আসলে আম্মু খুশি হয় । 
কিইইই ? তোর মাথায় কি কিছু নাই নাকি!হে আল্লাহ! এখন তার সাথে দেখা হলে আমি কিভাবে কথা বলব ।
আহা এরকম করছ কেনও ! ভুল তোহ কিছু বলি নাই । বরং তোমার উপকারই হয়েছে । রেনু আন্টি বলেছে সে আর কোন দিন নাকি আমাদের বাসায় আসবেন না । আমিও বলে দিয়েছি ঠিক আছে , যে শাড়ি গুলো নিয়ে গিয়েছিলেন শুধু সে গুলো ফেরত দিয়ে দিয়েন ।
আম্মুর চোখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না । আর আর বিস্ময় একই সাথে ভর করেছে তারে ,কিছু ক্ষনের মধ্যেই রাগটা ফাটবে । তাই দেরি না করে বেরিয়ে পরলাম ভারসিটির জন্য। বেরিয়ে দেখি একটা রিকসাও নাই ,গজব পরেছে আজকে গজব । দেরি হয়ে যাচ্ছে এমন সব দিনেই কন জেন প্রকৃতি তোমাকে আর দেরি করিয়ে দেওার জন্য উঠে পরে লাগে । দাঁড়িয়ে না থেকে আমি বাসে উঠে পরলাম ।এবার ২০ মিনিটের জন্য জগত থেকে বিচ্ছিন্ন হবার পালা । কানে হেডফোন গুজে রবিন্দ্রনাথের কবিতার নায়িকাদের মত ভাব নিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছি ,এমন সময়ই বুঝলাম পাশে বসে থাকা বেক্তি টা আমাকে মরার মত "নিতু ,এই নিতু" ডেকেই চলেছে । না তাকিয়েই বুঝলাম বেক্তি টা আমার পরিচিত । কারন সে আমার নাম ধরে ডাকছে । মুখে যতটা বিরক্তির ছাপ নিয়ে আশা যায় ততটা বিরক্তকর চেহারা বানিয়ে আমি বলে উঠলাম কি হয়েছে ?মরার মত ডাকছিস কেন ? 
এতক্ষণ ধরে ডাকছি , শুনিশ না ।
এখন তো শুনলাম ! বল কেনও ডাকছিলি ?
জানিস আমার না খুব ভয় করছে !
ওহ ! 
শুধু ওহ ! জিজ্ঞেস করবি না কেনও ভয় করছে! 
না । 
আজকে থার্ড সেমিস্টারের রেজাল্ট দিবে । আমার খুব টেনশন করছে ,তোর কি একটুও টেনশন হচ্ছে না ? বলেই দাত দিয়ে নখ কামরাতে লাগলো টুম্পা 
এই মেয়ে টার এটাই সমস্যা । সামান্য কিছু তেই ভয় পেয়ে অস্থির হয়ে যায় । আমি ওকে বললাম তুই টেনশন নিশ না ! তোর রেজাল্ট ভালো হয়েছে সি.জি.পি.এ ঃ ৩.৮৮ 
সত্তি ?!  কি করে জানলি ! 
তা তোহ আমি জানি না ! শুধু জানি তুই ৩.৮৮ পেয়েছিস 
ঠাট্টা করিস না তোহ ! ঠাট্টা এখন ভালো লাগছে না ।
বেশ আমি চুপ করলাম ।



Friday, 15 July 2016

আজকের রূপচর্চায় ঃ ব্রন ও ব্রনের দাগ দূর করার উপায়

মুখে ব্রন একটা সুন্দর চেহারার ১২টা বানিয়ে দেওয়ায় জন্য যথেষ্ট । আমার কাছে মনে হয় যেসকল দিনে কোন দরকারি কাজ থাকে ,এবং আমি আপাদমস্তক ফিট অ্যান্ড ফাইন হয়ে কাজে যেতে চাই সেসকল দিনেই সকাল সকাল ব্রনের দর্শন পাই । এটা কি শুধু আমার সাথেই হয় ,নাকি আমার মত আরও অনেকেই আছো ?! তবে আমার হৃদয়ের গভীরের থেকে আওয়াজ  আসে "না তুমি একা নও"
তাই আজকে আমি ব্রন ও ব্রনের দাগ দূর করার সহজ কিছু উপায় লিখবো আশা করি সবার কাজে লাগবে । শুধু মেয়েরা না ছেলেরাও ব্যবহার করতে পারেন ।
ব্রন ও ব্রনের দাগ দূর করার উপায় ঃ
  • জয়ফল গুড়া ,মধু ও দুধ ঃ জয়ফলের মধে মেইস নামক উপাদান আছে যা ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া দূর করে । একটি বাটিতে জয়ফল গুড়া ,মধু ও দুধ ভালভাবে মিশিয়ে পেস্টের মত বানান ।প্রতিদিন আগে ঘুমানর আগে ব্রনে আক্রান্ত জায়গা গুলোতে লাগান ।সকালে উঠে হাল্কা ভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন । ফলাফল নিজেই টের পাবেন । এই পেস্টটি আপনি স্পট ক্রিম হিসেবে মুখের দাগ দূর করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন ।
  • আপেল ও মধু ঃ এটা সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া পদ্ধতি। আপেলের পেস্ট বানিয়ে ৪-৬ ফোঁটা মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে কিছুখন অপেক্ষা করুন । এর পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাতে ৬-৭ দিন ব্যাবহার করবেন ।কিছু দিনের মধ্যেই পরিবর্তন লক্ষ করবেন ।
  • তুলসি পাতা ঃ আয়ুর্বেদিক গুন সম্পূর্ণ তুলসি পাতার রস ব্রন আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন । শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন ।
  • কাঁচা হলুদ এবং চন্দনগুড়া ঃ সমপরিমান কাঁচা হলুদ ও চন্দন গুড়া পরিমান মত পানির সাথে  মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। ব্রন আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে শুখানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন । শুখিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন । এই মিশ্রণটি ব্রন এবং ব্রনের দাগ দুটোই দূর করতে সাহায্য করবে ।
  • ডিমের সাদা অংশ ও লেবুর রস ঃ ঘুমানর আগে ডিমের সাদা অংশের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ব্রনের উপর লাগিয়ে মাস্যজ করে ৩০ মিনিট বা সারা রাতের জন্য ও রেখে দিতে পারেন । এটি আপান্র ত্বকের খসখসে ভাবও দূর করবে ।
.বি ঃ দ্রঃ দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি খাবেন । ব্রনের মুল কারন ব্রনের ত্বকে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের আক্রমন । তাই ব্রনের আক্রমকন থেকে বাচার জন্য রাতে ঘুমানর আগে ভালো ভাবে মুখ ধুয়ে নিবেন ।  {পরবর্তীতে রূপচর্চার কোন বিষয়ে আপনারা জানতে চান, ইচ্ছা করলে আমাদের কমেন্টবক্সে জানাতে পারেন }
ধন্যবাদ সবাইকে । ভালো থাকুন , সুস্থ ও সুন্দর থাকুন ।