A few days ago i watched a video in You-tube . it was a video about horoscopes, personality test and how we believe what we read ! when we read something we believe it too easily but if someone says the same thing we won't believe them . on that video an expert told 5 people that she will ask them some Question which they need to answer. According to their answers and analyzing their behavior she will give each of them a sheet about their personality and how they matches with their horoscope . 5 of them saw their personality test results and they did agreed , whatever was written on those sheets matches them well . but the twist comes now . that expert gave 5 of them the exact same sheet ! it was shocking right ?! that expert explained we tend to find similarities with our self when we see these stuffs . Also these stuffs are designed in a way that every human can find a match ! they will feel like yes its me .so accurate , so true and blah blah blah . well i used to believe on those thing but now when i see something like that i scroll down ! of course after reading what is has to say. can't help it but don't believe it either . Who cares its a fun thing to do right ?! Any way don't be deceived so easily .Stay healthy,Stay happy .
Showing posts with label Story. Show all posts
Showing posts with label Story. Show all posts
Sunday, 17 July 2016
Saturday, 16 July 2016
আজও ভালোবাসি
নিতুর সাথে আমার পরিচয় ফেসবুকে। তখন আমি নবম শ্রেনির ছাত্র । আমার এক বন্ধু আমাকে নিতুর সম্পর্কে বলে । মেয়েটার কথা শুনেই একটু আগ্রহ জন্ম নেয় তার সম্পর্কে জানার । বন্ধুর কাছ থেকে আইডি লিঙ্কটা নিয়ে তাকে অ্যাড রিকুয়েস্ট পাঠালাম । ৭ মাস পর তার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম এমন সময় ফেবুতে একটা নোটিফিকেশন আসে। নাফিসা বুশরা নিতু এক্সেপ্টেড ইয়োর ফ্রেন্ডরিকুয়েস্ট । ৭ মাস আগে বন্ধুর কথা শুনে মনে হয়েছিল মেয়ে টা খুব ভাব নেই ,আজকে সিউর হয়ে গেলাম ।কিছুটা খারাপ মেজাজ নিয়েই তাকে নক দেই
আমি ঃ আসস্লামুয়ালিকুম
নিতু ঃ ওয়ালিকুম আসসালাম ।
আমি ঃ কেমন আছেন ?
নিতু ঃ ভালই ! আপনি ?
আমি ঃ আলহামদুলিল্লাহ ! আচ্ছা একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করি ?
নিতু ঃ আমি যদি বলি না ,তাহলে কি জিজ্ঞেস করবেন না ?
আমি ঃ জী
নিতু ঃ ঠিক আছে করেন কি প্রশ্ন ?
আমি ঃ আপনি কিসে পড়েন ?
নিতু ঃ আমি মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস ১০ এ পড়ি ।
আমি ঃ আমিও ক্লাস ১০ এ পড়ি কিন্তু অন্য স্কুলে ! যেহেতু আমরা সমবয়সী তাহলে আপনি আপনি করে কেন বলছি ?! তুমি করে বলতে পারি না ?
নিতু ঃ হুম ! লজিক ঠিক আছে ! ওকে তুমি করেই বলব !
এভাবে আমাদের কথা শুরু হয় ! সে প্রতিদিন শুধু মাত্র ১ ঘণ্টার জন্য ফেবুতে আসতও ,আমি বেচারা সারাদিন ওই ১ ঘণ্টার অপেক্ষায় থাকতাম ! তার সাথে কথা বলতে বলতে আমি তাকে বুঝতে চেষ্টা করি ! একটা মেয়েকে বুঝতে চেষ্টা করলে হয়তো তুমি তার প্রেমে পরে যাবে নাহলে পাগল হয়ে যাবে ,আমার ক্ষত্রে দুটোই ঘটেছিলো সেটা অবশ্য আমি তখন বুঝি নি ! তার সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানার জন্য তার বান্ধবি দের সাথে ও আমার খাতির হয়ে যায় ! আমার বন্ধুরা, তার বান্ধবিরা সবাই জানতো আমি তাকে পছন্দ করি শুধু মাত্র সে জানতো নাহ ! আমাদের বন্ধুত্তের প্রায় ১ বছর শেষ , এস এস সি পরীক্ষাও শেষ এর মাঝে ! আমি তাকে যত বারই বলতাম আমার সাথে দেখা করার জন্য সে কোন বারি রাজি হতো না । এভাবে বলতে বলতে অনেক দিন পর সে দেখা করতে রাজি হয় আর আমাদের দেখাও হয় ! সে দিন সাদা আর সবুজ ড্রেসে তাকে মায়াবতীর মত লাগছিল ! এই মেয়েটা জেনো পৃথিবীর সব মায়া কে আঁকড়ে রেখেছে
আমি ঃ এতদিন পর
নিতু ঃ তাই নাকি ? কত দিন পর ?
আমি ঃ ১ বছর ৯ মাস ১৩ দিন ৫৮ ঘণ্টা ৩৬ সেকেন্ড
নিতু ঃ ১৩ দিন না বোকা ১৬ দিন , কি হিসাব কি শুধু তুমি ই পার আমি পারি না
আমি ঃ না পার না ১৩ দিন ই হবে আর তুমি সে হিসাব রাখ নি আমি জানি
নিতু ঃ হুম রাখিনি ! তোমাকে চেক করছিলাম সত্যিই কি হিসাব করে বলছিলে নাকি উরে এসে জুড়ে কিছু একটা মেরে দিচ্ছিলে ! দেখছি সত্যি সত্যি হিসাব করে রেখেছ
আমি ঃ হ্যাঁ তুমি তো আমাকে বিশ্বাস করও না তাই তো এতো বার বলার পর দেখা করতে এলে
নিতু ঃ না বিশ্বাস করি একটু একটু ! এভাবে আমি কখন কারো সাথে দেখা করতে আসি নি ! তাই সাহস যোগাড় করছিলাম আর কি !
আমি ঃ আমাকে কি বাঘ মনে করেছিলে নাকি ভাল্লুক
নিতু ঃ উহু একটা ও না , গরিলা হবে ।।
বলেই খিল খিল করে হেসে দিলও সে, তার হাসির শব্দ এ প্রথম শুনলাম ! এতো সুন্দর ভাবে সেই হাসতে পারে যার মনটা অনেক পবিত্র ! সে দিন ই তার মোবাইল নাম্বারটা সে আমাকে দিয়েছিল ! এর আগে আমাদের শুধু ফেবু তে কথা হতো ! তার সম্পর্কে আমার আগের ধারনা সব ভুল হতে থাকে সে ভাবিস্ট কেও না , সে আসলে নরম মনের একটা বাচ্চা মেয়ে যে কাওকে দেখাতে চায় না সে ভেতরে কতটা একা ! কারো কষ্ট দেখলে খুব কষ্ট পেতো কিন্তু প্রকাশ করত না ! নিজের জন্ম দিন পালন করত রাস্তার অনাথ শিশুদের সাথে ! তাদের কে বাসায় নিয়ে নিজে রান্না করে খাওয়াত ! তার একটা দুর্বলতা সে কান্না করত না ! পরিস্থিতি যেমনি হোক আমি তাকে কখনো কাদতে দেখি নি ! বাবা মায়ের বাদ্ধগত ভদ্র ,সহজ সরল একটা মেয়ে ! মনে যা থাকে তাই ই বলে আর মাঝে মাঝে তিতা করলার চেয়েও তিতা কথা বলে কিন্তু সত্যটাই বলে ! এস এস সির রেজাল্টের পর সে আর আমি একই কলেজে ভর্তি হই সে কমার্সে আমি সাইন্সে ! কমবাইন্ড কলেজ আর তার উপর নিতু অনেক সুন্দরি ! ছেলে গুলো ওর পাশে যেভাবে ভন ভন করতে থাকে আমি টেনশনে পরে যাই !তার উপর নিতু কেমন জেনো আমাকে ইগনোর করতে শুরু করে ,ফোন দিলে ফোন ধরতো না, দেখা হলে ঠিক মত কথা বলতো না! খুব কষ্টে এক দিন সাহস করে তাকে বলই ফেলি ...
এই নিতু শুনো
নিতু ঃ কি বল ?
আমি ঃ আমি তোমাকে ভালো বাসি নিতু !
নিতু ঃ মজা করছ না তা ?
আমি ঃ উহু ! একদমই না !
নিতু ঃ কি দেখে ভালবাশ আমায় ?
আমি ঃ জানি না ! শুধু জানি ভালবাসি !
নিতু ঃ আমি এসব ভালবাসার মধ্যে নাই ! এখন আমি প্রেম করব না তাছাড়া আমার আব্বু আমাকে ডাক্তার ছেলে ছাড়া বিয়ে দিবে না ! শুধু শুধু তোমার সাথে প্রেম করে আরেক জন কে বিয়ে করে কি লাভ !
আমি ঃ তুমি একটু চিন্তা করে জানাও ,আমি অপেক্ষা করতে রাজি
নিতু ঃ না চিন্তা করার কিছু নেই ,আমরা ফ্রেন্ড আসি আর থাকব
আমি ; না নিতু ,ফ্রেন্ড হয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না
নিতু ঃ ঠিক আছে তুমি যেটা চাও ...
আমি ঃ ভালো থেকো নিতু !
আমি নিতু ! আজকে আমার খুব খারাপ লাগছে ! যা চেয়েছিলাম তাই ই হয়েছে তাও খারাপ লাগছে কেনও জানি না ! আজকের পর থেকে হাসানএর সাথে আর কথা হবে না ,সে চলে গেছে আমার জীবন থেকে ! আমি অনেক আগে থেকে ই যানতাম সে আমাকে পছন্দ করে ! ছেলেটার সাথে যতই খারাপ ব্যবহার করি না কেনও সে সব সহ্য করে যেত ! আর আমাকে হাসানোর আপ্রাণ চেষ্টা করত সবসময় ! যখন আমি বুঝতে পারি আমি তার উপর দুর্বল হয়ে যাচ্ছি তখনই ওর কাছ থেকে নিজেকে দূরে নিয়ে আশার চেষ্টা করি ! ওর সাথে কথা বলা ধিরে ধিরে কমিয়ে দেই ! আমার মনে হয় এটা শুধু ওর ভালো লাগা ভালবাসা না ! কয় দিনের মধ্যে আমার কাছ থেকে দূরে গেলে নিজে নিজেই বুঝতে পারবে ! তাছার আমি প্রেমে পরতে চাই না ,এইসব আমার ঝামেলা মনে হয় ! আমি দোয়া করি হাসান যেখানে থাকুক ভালো থাকুক ! আর অনেক ভালো একটা মেয়ে ওর জীবনে আসুক ...
৪ বছর পর ...
নিতুর সাথে আমার শেষ দেখা হওয়ার পর আমি ওকে ভুলার অনেক চেষ্টা করি , প্রথম কয়েক মাস পর আমি অন্য একটা মেয়ের সাথে রিলেশনশীপেও যাই ! কিন্তু টিকলো না , কয়েক দিনের মধ্যেই ভেঙ্গে গেল এর পর এভাবে আমার আর কয়েকটা রিলেশন হয় সব মেয়ের মধ্যে আমি নিতুকে খুজতাম ! এই মেয়ের মত আর কাওকে পাই নি ! কিভাবে পাবও নিতু তোহ শুধু একটাই ! আর সেই নিতু বদমেজাজি মেয়েটা কেই আমি এতো ভালোবাসি, যে আমার ভালবাসাকে কোন পাত্তাই দিলও না একটু ভাবতে তো পারত এত তাড়া কার ছিলও ! আমি মনে মনে চিন্তা করে ফেলেছিলাম বিয়ে আমি নিতুকেই করব আর ডাক্তার হয়েই করব ! সব কিছু বাদ দিয়ে উঠে পরে লাগি আমি ডাক্তার হওয়ার জন্য ,সারাদিন রাত শুধু বই নিয়েই থাকি আমি ২বছর !অনেক কষ্টে ঢাকা মেডিক্যালে চান্স পাওয়ার কয়েক মাস পর আমি নিতুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি! তখন সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ে অর্থনীতিতে ১ম বর্ষে পড়ছে ! একটা সুবিধা ছিলও যে তার আর আমার একটা কমন ফ্রেন্ড ছিলও ! সে ফ্রেন্ডের কাছ থেকে নিতুর নাম্বারটা নেই আর এটাও জেনে নেই এই ৪ বছরে ওর কোন সম্পর্ক হয়েছে কিনা ,অবশ্য কোন বয়ফ্রেন্ড থাকলেও যায় আসেতো না , তাকে বিদায় করে দিতাম কিন্তু না লক্ষ্যি মেয়ে টা কোন সম্পর্কে জড়ায়নি আগে যেমন ছিলও তেমনি আছে ! নিতুকে ফোন দিয়ে দেখা করতে বলি ! এত দিন পর ও আমাকে মনে রেখেছে জেনে খুশি হয়ে গিয়েছিলাম ! পরের দিন টি এস সি তে আমাদের দেখা হয় ! নিতু আগের চেয়ে অনেক সুন্দর হয়ে গেছে মনে মনে বললাম এত সুন্দর কেনও হয়ে গেল মেয়েটা ! অনেক সুন্দরি হওয়া যদি অপরাধ হতো তাহলে নিতু সেই অপরাধের ১ নাম্বার অপরাধী হতো ! এসেই মেয়েটা ধমকের সুরে বলেছিল কি ব্যাপার হা করে তাকিয়ে আছো কেনও ? কিছু বল ? আমি হাতের লাল গোলাপ টা কে বারিয়ে দিয়ে হাঁটুর গেড়ে বসে মাথা নিছু করে তাকে বলেছিলাম আজ ও ভালোবাসি নিতু ! প্রতিটা ক্ষণ ,প্রতিটা মুহূর্ত শুধু তোমাকেই ভালোবাসি !
নিতু ঃ উঠো মানুষজন দেখছে ! কি হলও উঠো নাহলে একটা ঘুশি দিয়ে উরিয়ে দিব এখনই !
আমি ঃ উঠে দাড়িয়ে বললাম তোমাকে ইম্ব্যেরেস করার জন্য সরি
নিতু ঃ তোমার প্রপসালে আমি রাজি হতে পারি কিন্তু আমার একটা শর্ত আছে
আমি ঃ যে শর্ত দিবে সেটাতেই রাজি, কিন্তু কি শর্ত
নিতু ঃ সম্পর্কের মাঝে কখনো যদি তোমার মনে হয় যে তুমি আমাকে আর আগের মত ভালোবাস না , বোর হয়ে গেছ কিন্তু আমি তোমার প্রতি খুব সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছি তখন অন্য একটা মেয়ের সাথে প্রেম করে আমাকে ছেঁকা দিয়ও ! আমার খুব শখ জীবনে সিরিয়াস রকমের একটা ছেঁকা খাব ! কি রাজি ?
আমি ঃ { মনে মনে ভাব্লাম এই মেয়ে আগের চেয়ে ১০ গুন বেশি পাগল হয়ে গেছে কিন্তু তার পাগলামি কেও আমি ভালোবাসি ) বাধ্য ছেলের মত মাথা নেড়ে বললাম হ্যাঁ পাগলি ! রাজি !
আরও ৬ বছর পর ...
নিতু এখন আমার বুকের উপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে ! মুখের উপর চলে আশা চুল গুলো তাকে বিরক্ত করছে আমি আঙ্গুল দিয়ে সেগুল সরিয়ে দিচ্ছি ! আমাদের বিয়ে হয়েছে ২ বছর প্রায় ,এখন সে আমার বউ ! পাগলি ,মিষ্টি , দুষ্ট বউ !
আমি ঃ আসস্লামুয়ালিকুম
নিতু ঃ ওয়ালিকুম আসসালাম ।
আমি ঃ কেমন আছেন ?
নিতু ঃ ভালই ! আপনি ?
আমি ঃ আলহামদুলিল্লাহ ! আচ্ছা একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করি ?
নিতু ঃ আমি যদি বলি না ,তাহলে কি জিজ্ঞেস করবেন না ?
আমি ঃ জী
নিতু ঃ ঠিক আছে করেন কি প্রশ্ন ?
আমি ঃ আপনি কিসে পড়েন ?
নিতু ঃ আমি মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস ১০ এ পড়ি ।
আমি ঃ আমিও ক্লাস ১০ এ পড়ি কিন্তু অন্য স্কুলে ! যেহেতু আমরা সমবয়সী তাহলে আপনি আপনি করে কেন বলছি ?! তুমি করে বলতে পারি না ?
নিতু ঃ হুম ! লজিক ঠিক আছে ! ওকে তুমি করেই বলব !
এভাবে আমাদের কথা শুরু হয় ! সে প্রতিদিন শুধু মাত্র ১ ঘণ্টার জন্য ফেবুতে আসতও ,আমি বেচারা সারাদিন ওই ১ ঘণ্টার অপেক্ষায় থাকতাম ! তার সাথে কথা বলতে বলতে আমি তাকে বুঝতে চেষ্টা করি ! একটা মেয়েকে বুঝতে চেষ্টা করলে হয়তো তুমি তার প্রেমে পরে যাবে নাহলে পাগল হয়ে যাবে ,আমার ক্ষত্রে দুটোই ঘটেছিলো সেটা অবশ্য আমি তখন বুঝি নি ! তার সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানার জন্য তার বান্ধবি দের সাথে ও আমার খাতির হয়ে যায় ! আমার বন্ধুরা, তার বান্ধবিরা সবাই জানতো আমি তাকে পছন্দ করি শুধু মাত্র সে জানতো নাহ ! আমাদের বন্ধুত্তের প্রায় ১ বছর শেষ , এস এস সি পরীক্ষাও শেষ এর মাঝে ! আমি তাকে যত বারই বলতাম আমার সাথে দেখা করার জন্য সে কোন বারি রাজি হতো না । এভাবে বলতে বলতে অনেক দিন পর সে দেখা করতে রাজি হয় আর আমাদের দেখাও হয় ! সে দিন সাদা আর সবুজ ড্রেসে তাকে মায়াবতীর মত লাগছিল ! এই মেয়েটা জেনো পৃথিবীর সব মায়া কে আঁকড়ে রেখেছে
আমি ঃ এতদিন পর
নিতু ঃ তাই নাকি ? কত দিন পর ?
আমি ঃ ১ বছর ৯ মাস ১৩ দিন ৫৮ ঘণ্টা ৩৬ সেকেন্ড
নিতু ঃ ১৩ দিন না বোকা ১৬ দিন , কি হিসাব কি শুধু তুমি ই পার আমি পারি না
আমি ঃ না পার না ১৩ দিন ই হবে আর তুমি সে হিসাব রাখ নি আমি জানি
নিতু ঃ হুম রাখিনি ! তোমাকে চেক করছিলাম সত্যিই কি হিসাব করে বলছিলে নাকি উরে এসে জুড়ে কিছু একটা মেরে দিচ্ছিলে ! দেখছি সত্যি সত্যি হিসাব করে রেখেছ
আমি ঃ হ্যাঁ তুমি তো আমাকে বিশ্বাস করও না তাই তো এতো বার বলার পর দেখা করতে এলে
নিতু ঃ না বিশ্বাস করি একটু একটু ! এভাবে আমি কখন কারো সাথে দেখা করতে আসি নি ! তাই সাহস যোগাড় করছিলাম আর কি !
আমি ঃ আমাকে কি বাঘ মনে করেছিলে নাকি ভাল্লুক
নিতু ঃ উহু একটা ও না , গরিলা হবে ।।
বলেই খিল খিল করে হেসে দিলও সে, তার হাসির শব্দ এ প্রথম শুনলাম ! এতো সুন্দর ভাবে সেই হাসতে পারে যার মনটা অনেক পবিত্র ! সে দিন ই তার মোবাইল নাম্বারটা সে আমাকে দিয়েছিল ! এর আগে আমাদের শুধু ফেবু তে কথা হতো ! তার সম্পর্কে আমার আগের ধারনা সব ভুল হতে থাকে সে ভাবিস্ট কেও না , সে আসলে নরম মনের একটা বাচ্চা মেয়ে যে কাওকে দেখাতে চায় না সে ভেতরে কতটা একা ! কারো কষ্ট দেখলে খুব কষ্ট পেতো কিন্তু প্রকাশ করত না ! নিজের জন্ম দিন পালন করত রাস্তার অনাথ শিশুদের সাথে ! তাদের কে বাসায় নিয়ে নিজে রান্না করে খাওয়াত ! তার একটা দুর্বলতা সে কান্না করত না ! পরিস্থিতি যেমনি হোক আমি তাকে কখনো কাদতে দেখি নি ! বাবা মায়ের বাদ্ধগত ভদ্র ,সহজ সরল একটা মেয়ে ! মনে যা থাকে তাই ই বলে আর মাঝে মাঝে তিতা করলার চেয়েও তিতা কথা বলে কিন্তু সত্যটাই বলে ! এস এস সির রেজাল্টের পর সে আর আমি একই কলেজে ভর্তি হই সে কমার্সে আমি সাইন্সে ! কমবাইন্ড কলেজ আর তার উপর নিতু অনেক সুন্দরি ! ছেলে গুলো ওর পাশে যেভাবে ভন ভন করতে থাকে আমি টেনশনে পরে যাই !তার উপর নিতু কেমন জেনো আমাকে ইগনোর করতে শুরু করে ,ফোন দিলে ফোন ধরতো না, দেখা হলে ঠিক মত কথা বলতো না! খুব কষ্টে এক দিন সাহস করে তাকে বলই ফেলি ...
এই নিতু শুনো
নিতু ঃ কি বল ?
আমি ঃ আমি তোমাকে ভালো বাসি নিতু !
নিতু ঃ মজা করছ না তা ?
আমি ঃ উহু ! একদমই না !
নিতু ঃ কি দেখে ভালবাশ আমায় ?
আমি ঃ জানি না ! শুধু জানি ভালবাসি !
নিতু ঃ আমি এসব ভালবাসার মধ্যে নাই ! এখন আমি প্রেম করব না তাছাড়া আমার আব্বু আমাকে ডাক্তার ছেলে ছাড়া বিয়ে দিবে না ! শুধু শুধু তোমার সাথে প্রেম করে আরেক জন কে বিয়ে করে কি লাভ !
আমি ঃ তুমি একটু চিন্তা করে জানাও ,আমি অপেক্ষা করতে রাজি
নিতু ঃ না চিন্তা করার কিছু নেই ,আমরা ফ্রেন্ড আসি আর থাকব
আমি ; না নিতু ,ফ্রেন্ড হয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না
নিতু ঃ ঠিক আছে তুমি যেটা চাও ...
আমি ঃ ভালো থেকো নিতু !
আমি নিতু ! আজকে আমার খুব খারাপ লাগছে ! যা চেয়েছিলাম তাই ই হয়েছে তাও খারাপ লাগছে কেনও জানি না ! আজকের পর থেকে হাসানএর সাথে আর কথা হবে না ,সে চলে গেছে আমার জীবন থেকে ! আমি অনেক আগে থেকে ই যানতাম সে আমাকে পছন্দ করে ! ছেলেটার সাথে যতই খারাপ ব্যবহার করি না কেনও সে সব সহ্য করে যেত ! আর আমাকে হাসানোর আপ্রাণ চেষ্টা করত সবসময় ! যখন আমি বুঝতে পারি আমি তার উপর দুর্বল হয়ে যাচ্ছি তখনই ওর কাছ থেকে নিজেকে দূরে নিয়ে আশার চেষ্টা করি ! ওর সাথে কথা বলা ধিরে ধিরে কমিয়ে দেই ! আমার মনে হয় এটা শুধু ওর ভালো লাগা ভালবাসা না ! কয় দিনের মধ্যে আমার কাছ থেকে দূরে গেলে নিজে নিজেই বুঝতে পারবে ! তাছার আমি প্রেমে পরতে চাই না ,এইসব আমার ঝামেলা মনে হয় ! আমি দোয়া করি হাসান যেখানে থাকুক ভালো থাকুক ! আর অনেক ভালো একটা মেয়ে ওর জীবনে আসুক ...
৪ বছর পর ...
নিতুর সাথে আমার শেষ দেখা হওয়ার পর আমি ওকে ভুলার অনেক চেষ্টা করি , প্রথম কয়েক মাস পর আমি অন্য একটা মেয়ের সাথে রিলেশনশীপেও যাই ! কিন্তু টিকলো না , কয়েক দিনের মধ্যেই ভেঙ্গে গেল এর পর এভাবে আমার আর কয়েকটা রিলেশন হয় সব মেয়ের মধ্যে আমি নিতুকে খুজতাম ! এই মেয়ের মত আর কাওকে পাই নি ! কিভাবে পাবও নিতু তোহ শুধু একটাই ! আর সেই নিতু বদমেজাজি মেয়েটা কেই আমি এতো ভালোবাসি, যে আমার ভালবাসাকে কোন পাত্তাই দিলও না একটু ভাবতে তো পারত এত তাড়া কার ছিলও ! আমি মনে মনে চিন্তা করে ফেলেছিলাম বিয়ে আমি নিতুকেই করব আর ডাক্তার হয়েই করব ! সব কিছু বাদ দিয়ে উঠে পরে লাগি আমি ডাক্তার হওয়ার জন্য ,সারাদিন রাত শুধু বই নিয়েই থাকি আমি ২বছর !অনেক কষ্টে ঢাকা মেডিক্যালে চান্স পাওয়ার কয়েক মাস পর আমি নিতুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি! তখন সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ে অর্থনীতিতে ১ম বর্ষে পড়ছে ! একটা সুবিধা ছিলও যে তার আর আমার একটা কমন ফ্রেন্ড ছিলও ! সে ফ্রেন্ডের কাছ থেকে নিতুর নাম্বারটা নেই আর এটাও জেনে নেই এই ৪ বছরে ওর কোন সম্পর্ক হয়েছে কিনা ,অবশ্য কোন বয়ফ্রেন্ড থাকলেও যায় আসেতো না , তাকে বিদায় করে দিতাম কিন্তু না লক্ষ্যি মেয়ে টা কোন সম্পর্কে জড়ায়নি আগে যেমন ছিলও তেমনি আছে ! নিতুকে ফোন দিয়ে দেখা করতে বলি ! এত দিন পর ও আমাকে মনে রেখেছে জেনে খুশি হয়ে গিয়েছিলাম ! পরের দিন টি এস সি তে আমাদের দেখা হয় ! নিতু আগের চেয়ে অনেক সুন্দর হয়ে গেছে মনে মনে বললাম এত সুন্দর কেনও হয়ে গেল মেয়েটা ! অনেক সুন্দরি হওয়া যদি অপরাধ হতো তাহলে নিতু সেই অপরাধের ১ নাম্বার অপরাধী হতো ! এসেই মেয়েটা ধমকের সুরে বলেছিল কি ব্যাপার হা করে তাকিয়ে আছো কেনও ? কিছু বল ? আমি হাতের লাল গোলাপ টা কে বারিয়ে দিয়ে হাঁটুর গেড়ে বসে মাথা নিছু করে তাকে বলেছিলাম আজ ও ভালোবাসি নিতু ! প্রতিটা ক্ষণ ,প্রতিটা মুহূর্ত শুধু তোমাকেই ভালোবাসি !
নিতু ঃ উঠো মানুষজন দেখছে ! কি হলও উঠো নাহলে একটা ঘুশি দিয়ে উরিয়ে দিব এখনই !
আমি ঃ উঠে দাড়িয়ে বললাম তোমাকে ইম্ব্যেরেস করার জন্য সরি
নিতু ঃ তোমার প্রপসালে আমি রাজি হতে পারি কিন্তু আমার একটা শর্ত আছে
আমি ঃ যে শর্ত দিবে সেটাতেই রাজি, কিন্তু কি শর্ত
নিতু ঃ সম্পর্কের মাঝে কখনো যদি তোমার মনে হয় যে তুমি আমাকে আর আগের মত ভালোবাস না , বোর হয়ে গেছ কিন্তু আমি তোমার প্রতি খুব সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছি তখন অন্য একটা মেয়ের সাথে প্রেম করে আমাকে ছেঁকা দিয়ও ! আমার খুব শখ জীবনে সিরিয়াস রকমের একটা ছেঁকা খাব ! কি রাজি ?
আমি ঃ { মনে মনে ভাব্লাম এই মেয়ে আগের চেয়ে ১০ গুন বেশি পাগল হয়ে গেছে কিন্তু তার পাগলামি কেও আমি ভালোবাসি ) বাধ্য ছেলের মত মাথা নেড়ে বললাম হ্যাঁ পাগলি ! রাজি !
আরও ৬ বছর পর ...
নিতু এখন আমার বুকের উপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে ! মুখের উপর চলে আশা চুল গুলো তাকে বিরক্ত করছে আমি আঙ্গুল দিয়ে সেগুল সরিয়ে দিচ্ছি ! আমাদের বিয়ে হয়েছে ২ বছর প্রায় ,এখন সে আমার বউ ! পাগলি ,মিষ্টি , দুষ্ট বউ !
Location:
Dhaka 1000-1200, Bangladesh
Wednesday, 13 July 2016
জাতি জানতে চায় ...
একটা বিষয় আমি কখনো বুঝতে পারি না। মহান মহান মনিষীরা আমাদের জন্য মহান বানী বলে গেছেন যা আমদের স্কুল কলেজে সেখানও হয়। তেমনি একটা আমার খুব পছন্দের বানী - " অন্যায় যে করে এবং অন্যায় যে সহে উভয়ই সমান অপরাধী "। এখন একটা কমন অপরাধের কথা বলি ! কিছু দিন আগে আমার এক আত্মীয়র উপর ছিনতাইকারীরা হামলা করে । ছিনতাইকারীরা তার কাছ থেকে কিছুই ছিনতাই করে নিয়ে যেতে পারেনি যার পরিণাম সে এখন হাসপাতালে। সে অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতে নারাজ । তাই তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের দাগ লেগেছিলও। আল্লাহর অশেষ রহমতে সে সেইবারের মত বেঁচে গেলেন । সবাই তাকে বললও কি দরকার ছিলও নায়ক সেজে ছিনতাই কারীদের সাথে লড়াই করার । বোকার মত কাজ করেছে । ওরা যা চায় তা দিয়ে দেওয়া হলও বুদ্ধিমানের কাজ তাই না ? এবং এভাবে দিতে দিতেই তারা প্রশ্রয় পায় । যাই হোক আমার মনে প্রশ্ন আসলো আসলেই কোনটা ঠিক । যদি অন্যায় কে প্রশ্রয় না দাও তাহলে তুমি বোকা আবার যদি প্রশ্রয় দাও তাহলে তুমি অপরাধী। কেও একজন চোখের সামনে কাওকে গুলি করে খুলি উরিয়ে দিয়ে চলে গেল সবাই সেখানে দর্শকের ভুমিকা পালন করবে । কিন্তু পুলিশের সামনে কেও বলতে পারলো না, যে গুলি করেছে সে দেখতে কেমন! নাহ সবাই সেই সময় অন্ধ হয়ে গিয়েছিল । কারন এটাই বুদ্ধিমানের কাজ। একটা ১০/১১ বৎসরের বাচ্চাকে পাউরুটি চুরির অভিযোগে খাম্বার সাথে বেধে লম্বা লোহার রড দিয়ে জনসম্মুখে পেটানো হচ্ছে। অনেক দর্শক জমা হলও । কোন কোন ডিজিটাল দর্শক তো ভিডিও ও করলো। কেও একজন বলে উঠল কি ব্যাপার কেও কিছু বলছে না কেনও? পাশের জন বললও আরে বোকা এটাই তো বুদ্ধিমানের কাজ । রাস্তায় চিপসের প্যকেট ফেলে বাসায় গিয়ে একজন বুদ্ধিমান ফেবুতে স্ট্যাটাস দিলো "উফফ! দেশের রাস্তা ঘাটে যে ময়লা,দুর্গন্ধ ইয়াক!" । সেই স্ট্যাটাসে আরেক বুদ্ধিমান কমেন্ট করলো "ঠিক বলেছেন, এই দেশের উন্নতি নাই" অথচ সেও কিন্তু একই ক্যাটাগরির মধ্যে পরে । আমি বুঝতে পারি না এতোগুলো বুদ্ধিমান মানুষ থাকার পরেও এই দেশ এত পিছিয়ে কেনও ?? জাতি জানতে চায় । একজন নির্বোধ মানুষ জানতে চায়।
Tuesday, 12 July 2016
ঠোঁটকাটা
আমি , রাবেয়া সিদ্দিক মীম । প্রায় ১ বছর হয়ে আসলো এই চারকোনা দেওয়ালে বন্দী । সেচ্ছায় কি বন্দী হয়েছ কেও কখনো ? আমি সেচ্ছায় বন্দী । মাঝ রাতে আমার মোবাইল ফোনে 'আমি বন্দী কারাগারে' গানটি বাজতে থাকে । আমার এখন কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করে না। কোথাও জেতেও ইচ্ছা করে না । বন্ধু বান্ধব দের জন্য আমি এখন গায়েব বলতে গেলে । তাদের ধারনা আমি মাঝে মাঝে ই গায়েব হয়ে যেতে পারি । আমি বলব হ্যাঁ তাদের ধারনা ঠিক । কিছু কিছু মানুষ আছে যারা অপ্রিয় সত্য মানুষের মুখের উপর কট কট করে বলে দেয় । আমিও তাদের মধ্যে একজন । তাই বলে এই না যে আমি একেবারে সত্যবাদী কেও । যারা সহজে মিথ্যা বলে না তারা যখন মিথ্যা বলে তখন বড় বড় মিথ্যা বলে । এই যেমন এস.এস.সি পরীক্ষার রেজাল্টের সময় আমি আমর বাবাকে বলেছিলাম আমি জি.পি.এ ৫পেয়েছি। ইয়ে কি মজা কি মজা । বাবা তো মহা খুশি যে সে প্রতিলিপি টাও চেক করে নাই । অনেক বিশ্বাস করে সে আমাকে । এখনও বিশ্বাস করে যে আমি জি.পি.এ ৫ পাইসি । কেনও এই মিথ্যা বলেছিলাম এর কারন টা বলব না । মিথ্যা বলার পর কারন দিলে সেটা অজুহাত হয়ে যায়। এখন আমাকে মানুষ যখন জিজ্ঞেস করে কোথায় ভর্তি হবা কিছু ঠিক করেছো? কোন ইউনিভারসিটিতে এডমিশন নিবা ? প্রিপারেশন কেমন ? তখন কোন উত্তর দেই না । মেসেজ সিন করে রেখে চলে আসি । আসলে ওই প্রশ্ন গুলো আমি প্রতি দিন নিজেকে করি কিন্তু কোন উত্তর পাই না যে দিন পাব সেই দিন বলব ।আমার বাসায় আমার ভাই বোন সবাই অনেক ট্যলেন্টেড ওবভিয়াসলি আমি বাদে । আমার মনে হয় আল্লাহ যখন মানুষ দের ট্যলেন্ট দিচ্ছিল তখন আমি ফুটা থালা নিয়ে বসছিলাম , থালার ফুটা দিয়ে পরে গেসে আমার ট্যলেন্ট । আমি যখন দেখি দু জন মানুষ যারা একে অপরকে নিত্তান্ত অপছন্দ করার সত্তেও বাই চান্স দেখা হয়ে গেলে তাদের ভালবাসা উতলিয়ে উতলিয়ে পরে, তখন আমার খুব হাসি পায়। স্বার্থের জন্য কারো সাথে খাতির করা আমার পক্ষে সম্ভব না। কারন এমিটিশন কে আমি এমিটিশনই বলব গোল্ড বলতে পারি না। এবং হ্যাঁ দিন শেষে আমি একজন বন্দী অসামাজিক প্রাণী ।
Monday, 11 July 2016
ডাক নাম তারছেরা
৪০তম সিগারেটটা শেষ করার পর রকি লাইটারটা হাতে নিলো আরেকটা সিগারেট ধরানোর জন্য। কিন্তু ধরাতে পারল না সিগারেটের অভাবে । সে ঘড়ি দেখলও রাতের ৩টা ৪৫ বাজছে ।
মফিজের চায়ের দোকানটা খোলা থাকে সারারাত সে গিয়ে সিগারেট কিনে আনতে পারে কিন্তু তার যেতে ইচ্ছা করছে না । সে ছাদে লম্বা হয়ে শুয়ে আকাশ দেখছে এই আকাশের কোন শেষ নেই।
সে ভাবছে ছাদ থেকে কি সে লাফ দিবে পরক্ষণেই তার মনে পরল তাদের বাড়িটা দোতলা , আর দোতলা থেকে লাফ দিলে কেও মরে না। এই পর্যন্ত রকি অনেকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে,কিন্তু
প্রতি চেষ্টাই ব্যর্থ হয়ায় সে এখনও জীবিত। এই বছরে তাকে ৩টা কলেজ পরিবর্তন করতে হয়েছে আসলে ওই ৩টা কলেজ থেকেই তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে । মারামারি করে ৩টা কলেজের ৫টা ছাত্রকে সে
হাসপাতালে পাঠিয়েছে। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র হওয়ার পরও তাকে টিসি দেওয়ার কারন এই ঘারতেরা, বদমেজাজি আর উগ্র ব্যাবহার । প্রথম বার সে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে চলন্ত গাড়ির সামনে এসে কিন্তু গাড়ির
চালক দক্ষ হওয়ায় সে দ্রুত ব্রেক লাগানোর কারণে রকি বেঁচে যায় । এভাবে দ্বিতীয়ও তৃতীয়ও বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেও সে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় । কথায় আছে রাখে আল্লাহ মারে কে ? তার ক্ষেত্রেও মনে হচ্ছে তাই ।
চতুর্থ দফায় সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে তাদের বাড়ির পেছনের দিকের খালে ঝাপ দিয়ে কিন্তু অলৈকীক ভাবে সে মধ্যা-কর্ষণ শক্তির নীতিকে অগ্রাজ্য করে পানিতে ভাসতে থাকে। সেবার বাড়ির কেয়ারটেকার
রকিকে খালে ভাসতে দেখে পাড়ে তুলে নিয়ে আশে । এই হল তার চতুর্থ ব্যর্থতা । এর পর সে স্কুলের কেমেস্ট্রি ল্যাব থেকে পটাশিয়াম সাইয়ানাইড চুরি করে গিয়ে একজন বাধ্যগত ছাত্রের নজরে পরে । সে ছাত্র
কেমেস্ট্রি টিচারকে বলে দেওয়ায় সেই বার পটাশিয়াম সাইয়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করার পরিকল্পনা তার গোল্লায় যায় ।
তার আত্মীয়স্বজন,স্কুলের সহপাঠী,শিক্ষক এমনকি তার বাবাও তাকে মানসিক রোগী মনে করতে থাকে । তার পেছনে তাকে নিয়ে সবাই সমালোচনা করতে থাকে। ক্লাসে তার নাম হয়ে যায় তারছেরা রকি ।
যে যত কষ্ট পাবে অপরের ততই আনন্দ অনুভুত হবে । আমাদের এই সমাজে এতাই তো স্বাভাবিক । কথা গুল ভাবতে ভাবতে নিজের অজান্তে রকির চোখের কোন থেকে এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পরল । ফজরের আজান শোনা
যাচ্ছে সে উঠে দাঁড়ালো । অজু করে ফজরের নামাজ আদায় করল । এখন সে ঘুমাবে অনন্ত কালের জন্য সে ঘুমিয়ে পরবে । মনে মনে বললও আচ্ছা ১২ টা ঘুমের ওষুধ কি যথেষ্ট একটা শান্তির ঘুমের জন্য ?
দেখা যাক এই বলে ১২ টা ট্যাবলেট একসাথে সে মুখে দিয়ে গুট করে এক গ্লাস পানির সাথে নিমিশে গিলে ফেললও । এখন সে খুব কাছে অনন্ত কালের পথ যাত্রী হওয়ার জন্য কিন্তু এ কি তার ঘুম যে ভেঙ্গে যাচ্ছে ।
অত্যন্ত অনিচ্ছায় সে জাগ্রত হয়ে নিজেকে আবিস্কার করল হাসপাতালের বিছানায় । তার পাশে তার বাবা বসে আছে তাকে দেখে মনে হচ্ছে গত দু দিন ধরে সে ঘুমায়নি । ছেলেকে জেগে উঠতে দেখে রকির বাবার
চোখের কোনে অশ্রু জমা হলও । আনন্দ এবং বিষাদ মিশ্রিত অশ্রু যা শত চেষ্টায়ও আড়াল করা গেল না । এই প্রথম রকি তার বাবাকে দেখে মনে হলও এই মানুষটার তাকে ছাড়া আর কেও নেই সে মনে মনে বললও
এইবার আমি বাঁচবও বাবা । কেও কখনো জিজ্ঞেস করে নি কেনও সে এমন করত, কেও জিজ্ঞেস করলে হয়ত জানত
তার মনে কত কষ্ট । খুব ছোট বয়সে রকির মা মারা যায় । এর পর থেকেই রকির বাবা তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয় । বাবা মার স্নেহ ছাড়া বড় হতে থাকা রকি একদিন জানতে পারে ছোট বেলায় তার হার্টের
অপরেশন হয়েছিল । তার শরিরে যে হৃদপিণ্ডটি ধক ধক করছে সেটি তার মায়ের । তার কারনে তার মায়ের মৃত্যু সে কোন ভাবেই মেনে নিতে পারে না । নিজেকে অপরাধি ভেবে তিলে তিলে তার করুন মন
ভেবে বশেছিল সেও তার মার কাছে চলে যাবে । JUST KIDDING;এটা কোন বাংলা সিনেমা নয় । রকি আসলে ছেঁকা খেয়েছিল । এবং সেই দিন কোন অলৈকীক কারণে সে পানিতে ভাসছিল তা নয় । রকি ভাসছিল,
কারন প্রেমের মরারা জলে ডুবে না ।
Friday, 8 July 2016
জীবনের আরেক নাম তেজপাতা

Subscribe to:
Posts (Atom)